পরিস্থিতির চাপে চে|দ''ন খাওয়ার কাহিনি 🍊🔥
ছোট্ট এক খুপড়ি ঘর। ঘরের আসবাব বলতে শুধু একটি ভাঙা আলনা, তাতে ঝুলছে কিছু ছেঁড়া ময়লা জামাকাপড়। আছে একটি তিন পা-ওয়ালা টেবিল, যার একটি পা ভেঙে গেলেও বাকি তিন পায়ের ভরসায় এখনো দাঁড়িয়ে আছে। মেঝেতে বিছানো একটি পাটি, তেল আর ধুলোয় চিটচিটে হয়ে আছে সেটি। আছে দু’টি বালিশ, সেগুলোও জরাজীর্ণ, পুরোনো। ঘরটি একটি বস্তির। কোলাহলপূর্ণ ঢাকা শহরে এরকম হাজারো ঘর আছে, যাদের চিত্র প্রায় একই রকম। সেই পাটিতেই শুয়ে আছে আসমা। আজ প্রচণ্ড গরম। চৈত্র মাসের ভ্যাপসা গরম। বস্তিতে বিদ্যুৎ নেই, তাই ফ্যানের বাতাসের সৌভাগ্য আসমার কপালে নেই। ভাঙা টেবিলের উপর টিমটিম করে জ্বলছে একটি মোমবাতি। আসমা পেশায় একজন গৃহকর্মী—সহজ ভাষায় কাজের বুয়া। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করেই তার সংসার চলে। সংসার বলতে আছে শুধু একটি ছেলে, নাম টিটু। আসমা কখনো তার ছেলের বয়স গোনেনি। শুধু মনে আছে, ২০০২ সালের বন্যার সময় টিটুর জন্ম হয়েছিল। হিসেব করলে পাঠকেরা বুঝতে পারেন, টিটুর বর্তমান বয়স প্রায় ১৮। আসমার স্বামী মোতালেব মিয়া। আজ থেকে ৫ বছর আগে এই বস্তিরই এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। আর কোনদিন খবরও নেয়নি। টিটুর বয়স নাহয় আমরা হিসেব...